Thursday, 26 May 2016

আমি ভালও নই, আমি মন্দও নই। আমি কেবল আমি।

জাপানের এক গ্রামে এক তরুন সন্যাসী বাস করতেন। তিনি খুবই বিখ্যাত ছিলেন এবং তার প্রচুর খ্যাতি ছিল। তাঁর সম্মানে সারা গ্রামে গান গাওয়া হত। কিন্তু একদিন সব কিছু বদলে গেল। 
সেই গ্রামের এক কুমারী মেয়ে গর্ভবতী হল এবং একটি শিশুর জন্ম দিল। যখন তার পরিবারের লোকজন তাকে প্রশ্ন করল এই শিশুটি কার, তখন সে বলল এই শিশুটি সেই তরুন সন্যাসীর।

গুনমুগ্ধ থেকে শত্রু হতে কতটুকু সময় লাগে? কতটুকু সময়? এর জন্য এক মূহুর্ত সময়ও লাগে না, কারণ প্রতিটি গুনমুগ্ধের মাঝে একজন নিন্দাকারী লুকিয়ে থাকে। মন শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, এবং যেদিন থেকে মুগ্ধতা শেষ হয় সেদিন থেকে তার নিন্দা শুরু হয়।
যে মানুষেরা আজ শ্রদ্ধা করছে তা এক মিনিটেই অশ্রদ্ধায় পরিণত হতে পারে। যে ব্যক্তি আজ কারো পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এক মূহুর্তেই সে তার মাথা কাটার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। শ্রদ্ধা এবং অশ্রদ্ধার মাঝে কোন পার্থক্য নেই-এ দু’টি কেবল একই মুদ্রার দু’টি দিক।

সে গ্রামের সব মানুষ ঐ সাধুর কুড়ে ঘর আক্রমন করে জ্বালিয়ে দিল। দীর্ঘদিন তারা শ্রদ্ধা করে এসেছে কিন্তু এতোদিনে তাদের অবদমিত ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছে। এখন তাদের অশ্রদ্ধা করার সুযোগ এসেছে, সূতরাং তারা সবাই সাধুর কুড়ে ঘরে আগুন লাগাতে ছুটে এসেছে। এবং সেই পিঁচ্চি শিশুটাকেও তারা সাধুর পানে ছুড়ে মারতে দ্বিধা করল না।
সাধু শুধাইলো, “ ব্যাপার কি?
লোকজন চিৎকার করে বলল, “তুমি আমাদের প্রশ্ন করছ ব্যাপার কি? এত সাহস তোমার? এই শিশুটি তোমার। এই জ্বলন্ত ঘরের দিকে তাকাও, তোমার হৃদয়ের দিকে তাকাও, এই শিশুটা আর এর মায়ের দিকে তাকাও। তোমাকে আর আমাদের বলতে হবে না যে এই শিশুটা তোমার।”
সাধু বললেন, “তাই নাকি? এই শিশুটা আমার?” 
শিশুটা কান্না জুড়ে দিলে সাধু গান গেয়ে তাকে থামাতে চেষ্টা করল, এবং গ্রামবাসী ঐ শিশুটি সহ তাকে সেই পোড়া ঘরের পাশে রেখে চলে গেল। তারপর তিনি যথাসময়ে ভিক্ষা করতে গেলেন, বিকেল হয়েছে। কিন্তু কে তাঁকে খাবার দেবে আজ? আজ তিনি যে দরজায় দাড়ালেন সেটাই সজোরে বন্ধ হয়ে গেল তাঁর দিকে। তাঁর পিছু পিছু একদল ছেলেবুড়ো বিদ্রুপ করে চলল, পাথর ছুড়ে মারল।
শেষ পর্যন্ত শিশুটা যে মেয়েটির ছিল তিনি সেই দরজায় এসে বললেন, “আমাকে না হয় খাবার নাই দিলেন, কিন্তু এই শিশুটার জন্য তো একটু দুধ দিন! আমার দোষ থাকতে পারে কিন্তু এই অবলা শিশুটার কি দোষ?
শিশুটা কাঁদছিল-চারপাশে লোকজনের ভিড়। এই অবস্থা শিশুটার মায়ের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠল। সে তার বাবার পায়ে পড়ে বলল, “আমাকে ক্ষমা করুন, আমি ঐ সাধুর নামে মিথ্যা বলেছি। আমি শিশুটির প্রকৃত বাবাকে বাঁচাতে এই সাধুর নাম নিয়েছি। তাঁর সাথে আমার কোন পরিচয়ও নেই।”
মেয়েটির বাবা হতচকিত হয়ে গেলেন, এ তো মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে। তিনি দৌড়ে বাইরে এসে সাধুর পায়ে পড়লেন এবং শিশুটিকে তাঁর কাছে থেকে নিতে চাইলেন।
সাধু আবারো শুধালেন, “ব্যাপার কি?
মেয়েটির বাবা বললেন, “আমাকে ক্ষমা করুণ, বড় ভুল হয়ে গেছে আমাদের। এই শিশুটা আপনার নয়।”
সাধু উত্তর দিলেন, “তাই নাকি? সত্যি শিশুটা আমার নয়?
ঐ গ্রামের লোকজন সাধুকে বলে, “ আপনি একটা পাগল! সকালেই কেন আপনি এটা অস্বীকার করলেন না?”
সাধু বললেন, “তাতে কি পার্থক্য হত? এই শিশুটা নিশ্চয় কারো হবে। এবং ইতোমধ্যে আপনারা একটা ঘর জ্বালিয়েছেন, এখন আর একটা ঘর জ্বালাতে হবে। আপনারা একজন কে অপদস্থ করা উপভোগ করেছেন এখন আর একজনকে অপদস্থ করা উপভোগ করবেন। তাতে কি পার্থক্য হবে? শিশুটা নিশ্চয় কারো না কারো হবে। আমারও হতে পারত। সুতরাং সমস্যা কি?”
তারা বলে, “ আপনি কি বুঝতে পারছেন না সবাই আপনাকে দোষারোপ করছে, অপদস্থ করছে,অবমাননা করছে?”
সাধু বলেন, “আমি যদি আপনাদের নিন্দায় উদ্বিগ্ন হতাম তবে আপনাদের শ্রদ্ধা নিয়েও আমাকে উদ্বিগ্ন হতে হয়। আমি যা ঠিক মনে করি তা করেছি, আপনাদের যা ঠিক মনে হয়েছে করেছেন। গতকাল পর্যন্ত আমাকে শ্রদ্ধা করা ঠিক মনে হয়েছিল, সূতরাং আপনারা তাই করেছেন। আজ আপনাদের মনে হচ্ছে আমাকে শ্রদ্ধা করা ঠিক নয়, করছেন না। কিন্তু আমি আপনাদের শ্রদ্ধা বা অশ্রদ্ধা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।”
তারা বলে, “ওহে মহামান্য সাধু, আপনার খ্যাতি নষ্ট হচ্ছে সে বিষয়টি অন্তত বিবেচনা করতে হত।”
সাধু উত্তর দিলেন, “আমি ভালও নই মন্দও নই। আমি কেবল আমি। আমি ভাল এবং মন্দের এই চিন্তা ছেড়েছি। আমি ভাল হবার সকল চিন্তা ছেড়েছি কারণ আমি যত ভাল হতে চেষ্টা করেছিলাম দেখেছি তত মন্দ হয়েছি। আমি যতই মন্দত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলাম ভালত্ব ততই আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছিল, সূতরাং আমি এই সব চিন্তা ছেড়েছি।
আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়েছি। এবং যেদিন নিরপেক্ষ হয়েছি সেদিন বুঝেছি আমার মাঝে ভালত্ব বা মন্দত্ব কিছুই নেই। পরিবর্তে আমার মাঝে নতুন কিছুর জন্ম হয়েছে যা মন্দত্ব এবং ভালত্বের তুলনায় ভাল এবং তার মাঝে মন্দত্বের কোন ছায়াও নেই।”


dc: এটা আমার লেখা না, হাতে পেলাম, তাই ছড়িয়ে দিলাম।

Sunday, 22 May 2016

শাবান, রমযান, ঈদঃ কয়েকটা প্রশ্নের উত্তরঃ

শাবান, রমযান, ঈদঃ কিছু প্রশ্নের উত্তর c: মুহাম্মাদ এনামুল হাসান প্রশ্ন : শবে বরাত সম্পর্কে কিছু বিষয় জানতে চাই। আজকাল কারো কারো মুখে শোনা যায় যে, শবে বরাত বলতে কিছু নেই, এ রাতের ফযীলত বিষয়ে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযূ বা যয়ীফ। তাই শবে বরাতকে ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা জায়েয নয়। তাদের কথা কি ঠিক? যদি ঠিক না হয় তাহলে হাদীস ও সুন্নাহর আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর : শবে বরাত অর্থাৎ পনেরো শা’বানের রজনীর ফযীলত সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে (শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।-সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৫৬৬৫ শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফযীলত প্রমাণিত হওয়ার জন্য এই একটি হাদীসই যথেষ্ট। তবুও হাদীসের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে এ বিষয়ক আরো হাদীসউল্লেখ করা সম্ভব। নিম্নে আরেকটি হাদীস উল্লেখ করা হল। হযরত আ’লা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়তো ইনতেকাল হয়ে গেছে। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা! তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি তখন বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস'াতেই।-শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩ উপরোক্ত হাদীস থেকে এ রাতের ফযীলত যেমন জানা যায় তদ্রূপ এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ দীর্ঘ নামায পড়া, সেজদা দীর্ঘ হওয়া, দুআ ও ইসে-গফার করা ইত্যাদি। মোটকথা, সহীহ হাদীস থাকা অবস'ায় শবে বরাতের ফযীলত ও গুরুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা এবং এ সংক্রান- সকল রেওয়ায়েতকে মওযূ বা যয়ীফ বলা যে কত বড় অন্যায়, তা তো বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন : অনেকে শবে বরাতের পরদিন রোযা রাখেন। এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম কী জানতে চাই। উত্তর : শা’বানের এক তারিখ থেকে সাতাইশ তারিখ পর্যন- রোযা রাখার বিশেষ ফযীলতের কথা হাদীস শরীফে আছে। তাছাড়া আইয়ামে বীয তথা প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোযা রাখার ব্যাপারে হাদীস শরীফে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সাথে যয়ীফ সনদে বর্ণিত একটি হাদীসে বিশেষভাবে পনেরো তারিখের রোযা রাখার নির্দেশনাও পাওয়া যায়। হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (তরজমা) পনেরো শা’বানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাও এবং পরদিন রোযা রাখ।-সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৩৮৪ আগেই বলা হয়েছে যে, যেহেতু বিভিন্ন সহীহ হাদীসে শা’বান মাসের রোযার সাধারণ ফযীলত এবং আইয়ামে বীযের রোযার ফযীলত উল্লেখিত হয়েছে পাশাপাশি যয়ীফ সনদে উপরোক্ত হাদীসটিও বিদ্যমান রয়েছে তাই কেউ যদি এই সকল বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শা’বানের রোযা রাখেন তাহলে তিনি ছওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। 
প্রশ্ন : শবে বরাত ও শবে কদর উপলক্ষে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি না-এ প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। এক ধরনের চটি বই পুসি-কায় বিভিন্ন নিয়মের কথা লেখাও থাকে। বিশেষ বিশেষ সূরা দিয়ে নামায পড়া বা নির্ধারিত রাকাত নামায বিশেষ সূরা দ্বারা আদায় করা ইত্যাদি। প্রশ্ন এই যে, হাদীস শরীফে এ দুই রাতে বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায আছে কি? থাকলে তা জানতে চাই। তদ্রূপ কেউ কেউ এ রাতগুলোতে জামাতের সঙ্গে নফল নামায পড়তে চায়। এ ব্যাপারে শরয়ী বিধান কী? উত্তর : এ দু’রাতের জন্য বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামায নেই। সব সময় যেভাবে নামায পড়া হয় সেভাবেই পড়বে অর্থাৎ দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব হয় আদায় করবে এবং যে সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়বে। তদ্রূপ অন্যান্য আমলেরও বিশেষ কোনো পন'া নেই। কুরআন তেলাওয়াত, যিকির-আযকার, দুআ-ইসে-গফার ইত্যাদি নেক আমল যে পরিমাণ সম্ভব হয় আদায় করবে। তবে নফল নামায দীর্ঘ করা এবং সিজদায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করা উচিত, যা ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদীস শরীফ থেকে জানা গেছে। বিভিন্ন বই-পুস-কে নামাযের যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানূন লেখা আছে অর্থাৎ এত রাকাত হতে হবে, প্রতি রাকাতে এই এই সূরা এতবার পড়তে হবে-এগুলো ঠিক নয়। হাদীস শরীফে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই, এগুলো মানুষের মনগড়া পন'া। বলাবাহুল্য যে, যে কোনো বই-পুসি-কায় কোনো কিছু লিখিত থাকলেই তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। বিজ্ঞ আলিমদের নিকট থেকে জেনে আমল করা উচিত। শবে বরাত ও শবে কদরের নফল আমলসমূহ, বিশুদ্ধ মতানুসারে একাকী করণীয়। ফরয নামায তো অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। এসব নফল আমলের জন্য দলে দলে মসজিদে এসে সমবেত হওয়ার প্রমাণ হাদীস শরীফেও নেই আর সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না।-ইকতিযাউস সিরাতিল মুস-াকীম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ পৃ. ২১৯ তবে কোনো আহ্বান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই কিছু লোক যদি মসজিদে এসে যায় তাহলে প্রত্যেকে নিজ নিজ আমলে মশগুল থাকবে, একে অন্যের আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হবে না। 
প্রশ্ন : শবে বরাত ও শবে কদর উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও দোকানপাটে আলোকসজ্জা করা হয়, পটকা ফুটানো হয় ও আতশবাজি করা হয়। সেই সাথে হালুয়া-রুটি, খিচুড়ি ইত্যাদি খাবারের আয়োজন করা হয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে এর হুকুম কী জানতে চাই। উত্তর : এগুলো কিছু ভুল রেওয়াজ, যা পরিহার করা আবশ্যক। আলোকসজ্জা বা আতশবাজিতে অপচয়ের পাশাপাশি বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণও রয়েছে। তাই তা সর্বোতভাবে পরিত্যাজ্য। আর হালুয়া-রুটি বা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য বানানো,আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিতরণ করা তদ্রূপ খিচুড়ি রান্না করা এবং গরীব-মিসকীনদের মাঝে বন্টন করা সাধারণ অবস'ায় জায়েয ও ভালো কাজ হলেও এটাকে এ রাতের বিশেষ আমল মনে করা এবং এসবের পিছনে পড়ে এ রাতের মূল কাজ তওবা-ইসে-গফার, নফল ইবাদত ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হওয়া শয়তানের ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়। মূল কথা এই যে, এই রাতগুলো উৎসবের রাত নয়, ইবাদত-বন্দেগী ও তওবা- ইসে-গফারের রাত। তাই রসম-রেওয়াজের অনুগামী হয়ে এ রাতে উপরোক্ত কাজকর্মে লিপ্ত হওয়া নিজেকে ক্ষতিগ্রস- করা ছাড়া আর কিছুই নয়।-ইকতিযাউস সিরাতিল মুস-াকীম ২/৬৩২; আলমাদখাল লি ইবনিল হাজ্ব ১/২৯৯ ও ১/৩০৬, ৩০৭; তানকীহুল হামীদিয়াহ ২/৩৫৯; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৫/২৮৯ 
প্রশ্ন : সামনে রমযান মাস। এ মাসের পরিপূর্ণ বরকত, রহমত ও ফযীলত কীভাবে হাসিল করা যাবে সে ব্যাপারে জানতে চাই। উত্তর : মাহে রমযান বছরের বাকি এগারো মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে ইরশাদ করেন, (তরজমা) ‘রমযান মাসই হল সে মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত।-সূরা বাকারা : ১৮৫ হাদীস শরীফে এসেছে, যখন রমযানের আগমন হয় তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। -সহীহ বুখারী হাদীস : ১৮৯৯ অন্য হাদীসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যহ ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।- মুসনাদে আহমদ হাদীস ২১৬৯৮ তাই এ মাস হচ্ছে হেদায়েত লাভের মাস, আল্লাহ তাআলার রহমত লাভের মাস এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত হাসিলের মাস। সুতরাং বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা এবং তাওবা-ইসে-গফারের মাধ্যমে মুক্তির সনদ লাভে সচেষ্ট হওয়া কর্তব্য। এ মাসের রোযাকে আল্লাহ তাআলা ফরয করেছেন। তাই প্রত্যেক সুস' ও বালিগ মুসলিম নর-নারীর জন্য রোযা রাখা অপরিহার্য। বলাবাহুল্য যে, ফরয ইবাদতের মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জন করে। রমযানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে তারাবী। রমযানের বরকতময় রজনীতে যত্নের সঙ্গে বিশ রাকাত তারাবীর নামায আদায়ে যত্নবান হওয়া উচিত। রমযান মাস হচ্ছে কুরআন নাযিলের মাস। এ মাসে লওহে মাহফূয থেকে প্রথম আসমানে কুরআন মজীদ নাযিল হয়েছে তাই কুরআন মজীদ শ্রবণের জন্য এবং এই পুণ্যময় রজনীতে আল্লাহর সান্নিধ্যে দণ্ডায়মান হওয়ার জন্য তারাবী নামাযের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া কর্তব্য। অন্য সময়ও ব্যক্তিগতভাবে অধিক পরিমাণে কুরআন মজীদ তেলাওয়াত করা উচিত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামায। এ মাসে যেহেতু সাহরী খাওয়ার সুবাদে সুবহে সাদিকের পূর্বেই সবাইকে উঠতে হয় তাই এ সুযোগে তাহাজ্জুদের ইহতিমাম করা সহজ। হাদীস শরীফে তাহাজ্জুদের অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। তদ্রূপ সাধ্যমতো দান-সদকা করা উচিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে অনেক বেশি দান-সদকা করতেন। এসব নেক আমলের পাশাপাশি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাও অপরিহার্য। রমযান মাস হচ্ছে তাকওয়া ও পরহেযগারী অর্জনের মাস। আল্লাহ তাআলা রোযাকে ফরযই করেছেন তাকওয়া অর্জনের জন্য। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, গুনাহ থেকে সর্বোতভাবে বেঁচে থাকা ছাড়া রোযা পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই রোযাকে নিখুঁতভাবে আদায়ের উদ্দেশ্যে মুমিন যখন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে তখন আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাকে তাকওয়া ও পরহেযগারীর শক্তি দান করেন। এজন্য সকল গুনাহ থেকে, বিশেষ করে গীবত, শেকায়েত, কুদৃষ্টি, কুচিন-া, হারাম পানাহার ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের একান- কর্তব্য। 
প্রশ্ন : তারাবীর সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে, এই নামায আট রাকাত, বিশ রাকাত তারাবীর কোনো প্রমাণ নেই। জানতে চাই, তাদের দাবির সত্যতা কতটুকু? উত্তর : এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যমানা থেকে শুরু করে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন এবং পরবর্তী কোনো যুগেই তারাবীর নামায বিশ রাকাতের কম ছিল না। এ বিষয়ে আলকাউসারের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম-এর একটি বিস-ারিত ও প্রামাণিক প্রবন্ধ আলকাউসার অক্টোবর-নভেম্বর ২০০৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। পরে তা ‘মাকতাবাতুল আশরাফ’ থেকে পুসি-কা আকারেও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে দলীল-প্রমাণসহ বিস-ারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং বিশ রাকাত তারাবীর অস্বীকারকারীদের বিভ্রানি- ও প্রপাগাণ্ডার জবাব দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠক সেটি পড়ে নিতে পারেন। উল্লেখ্য, তারাবীর নামাযে বেশ কিছু ত্রুটি অনেক মসজিদেই দেখা যায়। এগুলো থেকেও বেঁচে থাকা একান- জরুরি। যেমন-নামায তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য রুকু-সেজদা, কওমা-জলসা ইত্যাদিতে তাড়াহুড়া করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ই’তিদালে আরকান-এর ওয়াজিব পর্যন- তরক হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে যে, সকল নামাযে, তা ফরয হোক বা নফল, রুকু-সেজদা, কওমা-জলসা ইত্যাদি শান-ভাবে আদায় করা ওয়াজিব। এ বিষয়ে সচেতন হওয়া কর্তব্য। তদ্রূপ এত তাড়াতাড়ি কুরআন তেলাওয়াত করা হয়ে থাকে যে, দ্রুততার কারণে শব্দাবলিও ঠিকমতো বোঝা যায় না। এত দ্রুত না পড়ে তারতীলের সঙ্গে কুরআন মজীদ তেলাওয়াত করতে হবে।
প্রশ্ন : আমাদের কিছু ভাই বলে থাকেন যে, আমরা যে পদ্ধতিতে ঈদের নামায পড়ে থাকি তা সুন্নাহসম্মত নয়। সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি হল বারো তাকবীরের সঙ্গে নামায আদায় করা। তাদের কথা কতটুকু ঠিক? আর আমরা যে পদ্ধতিতে নামায আদায় করি তার দলীল কী? উত্তর : ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে ওহীর উপর নির্ভরশীল। তাই এ ধরনের বিষয়ে বুনিয়াদ হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষা। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে ঈদের নামাযের নিয়ম-পদ্ধতি শিখিয়েছেন এবং তাঁরা পরবর্তী লোকদেরকে সেই নিয়মই শিখিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতি শিখিয়েছেন তার সবগুলোই সঠিক ও জায়েয। ঈদের তাকবীর বলার ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম পাওয়া যায়, যার সবগুলোই সঠিক। এক্ষেত্রে বারো তাকবীরের নিয়ম যেমন হাদীসে পাওয়া যায় তেমনি চার তাকবীরের নিয়মও হাদীস শরীফে রয়েছে। তাই বারো তাকবীরের পন'াও জায়েয পন'া। কোনো দেশে বা কোনো ঈদগাহে যদি এই পদ্ধতিতে নামায হয় তাহলে আপত্তি করার কিছু নেই। ঝগড়া-বিবাদের তো প্রশ্নই ওঠে না। তদ্রূপ যে পদ্ধতি অনুযায়ী আমরা নামায পড়ে থাকি সেই পদ্ধতিও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং একাধিক জলীলুল কদর সাহাবী এই পদ্ধতির উপর আমল করেছেন। অতএব এ বিষয়ে কোনো বিভ্রানি- ছড়ানো সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক। নিম্নে এ পদ্ধতির দু’টি দলীল উল্লেখ করা হল। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আবু আবদুর রহমান কাসিম বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ‘‘নবীজী ঈদের দিন আমাদের নামায পড়ালেন এবং চারটি করে তাকবীর দিলেন। নামায শেষে আমাদের দিকে তাকিয়ে ইরশাদ করলেন, ‘ভুলো না যেন, তারপর হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বন্ধ করে বাকি চার আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, জানাযার তাকবীরের মতো (ঈদের নামাযেও চারটি করে তাকবীর হয়ে থাকে)’।’’-তহাবী ২/৩৭১ (কিতাবুু যিয়াদাত ১ম বাব) এই হাদীসটি সহীহ এবং এর সকল রাবী ‘ছিকাহ’ নির্ভরযোগ্য। ইমাম তহাবী রাহ.-এর ভাষ্য অনুযায়ী এদের বর্ণনাসমূহ সহীহ হওয়া বিশেষজ্ঞদের নিকট সর্বজনবিদিত। ইমাম তহাবী রাহ. একথাও বলেছেন যে, এই হাদীসের সনদ ওই সব হাদীসের সনদ থেকে অধিক সহীহ যেখানে বারো তাকবীরের কথা বলা হয়েছে। ২. (প্রসিদ্ধ তাবেয়ী ইমাম) মাকহুল বলেছেন, আমাকে আবু হুরায়রা রা.-এর সহচর আবু আয়েশা জানিয়েছেন যে, (কূফার আমীর) সাঈদ ইবনুল আছ হযরত আবু মুসা আশআরী রা. ও হযরত হুযায়ফা রা.কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে কয় তাকবীর দিতেন? আবু মুসা আশআরী রা. উত্তরে বললেন, জানাযার তাকবীরের সমসংখ্যক (চার) তাকবীর দিতেন। হুযায়ফা রা. (আবু মুসা রা.-এর সমর্থনে) বললেন, তিনি ঠিক বলেছেন। আবু মুসা রা. আরো বললেন, আমি যখন বসরার আমীর হিসাবে সেখানে ছিলাম তখন চার তাকবীর দিয়েছি। আবু আয়েশা বলেন, সাঈদ ইবনুল আছ-এর এই প্রশ্নের সময় আমি সেখানে উপসি'ত ছিলাম। তিনি আরো বলেন, আবু মুসা রা-এর বাক্য ‘জানাযার মতো চার তাকবীর’ এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে।-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ১১৫০; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ২/৭৮, কিতাবু সালাতিল ঈদাইন, বাব নং ১২; মুসনাদে আহমদ ৪/৪১৬ সনদের বিবেচনায় এই হাদীসটি হাসান এবং হাসান হাদীস গ্রহণযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার। বিস-ারিত আলোচনার জন্য আলকাউসার অক্টোবর ও নভেম্বর ২০০৫ সংখ্যা অথবা মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত পুসি-কা ‘সহীহ হাদীসের আলোকে তারাবীর রাকাআত সংখ্যা ও সহীহ হাদীসের আলোকে ঈদের নামায’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে ৷
الحمد لله رب العالمين

শাব-এ বারাত, লায়লাতুল বারা'আহ, লায়লাতুন নিসফে মিন শা'বান এর রাতের আউরাদ (আমল)



শাব-এ বারাত, লায়লাতুল বারা'আহ, লায়লাতুন নিসফে মিন শা'বান এর রাতের আউরাদ (আমল), এরশাদ করেছেন শায়ক-উল-ইসলাম, প্রচারঃ ডঃ মুহাম্মাদ তাহির-উল কাদরি।


- সুরাহ ইয়াসিন [  বার],
- সুরাহ আদ-দুখান [ ৮ বার] / প্রথম ৮ আয়াত [ ৩০ বার],
- নবী হজরত ইউসুফ عليه سلم এর উপর [ কমপক্ষে ১০০ বার] এই দোয়াটা পড়ে বকসানোঃ

لا إلهَ إلا أنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِيْنَ

- তওবায়ে এসতেগফারঃ [১০০ বার]:
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْْقَيُّومُ وَ أَتُوبُ إِلَيْهِ

لاحول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم    

- দরুদ শরীফ [অন্তত ১০০ বার], *পারতপক্ষে দরুদে ঈব্রাহীমের বাইরে কোনো স্বীকৃ্ত দরুদ, তবে অবশ্যই এমন কোনো দরুদ যাতে আহলে বাইতগনের উপর সালাম দেয়া হয়।

- সালাত-আল তাসবীহনিয়ম ও বিস্তারিতঃ https://goo.gl/CiLbZ9
- ৮ রাকা'ত নাওয়াফিল কিয়াম আল-লাএয়ালনিয়ম ও বিস্তারিতঃ http://goo.gl/C6WvHF
- বেশি বেশি করে জিকির আর না'ত,

প্রতি ২ রাকা'ত নাওয়াফিল আর সালাত-আল তাসবিহ অন্তর এই দোয়া এবং পারলে এক তাবীহ যোগ করে নেওয়াঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَني

English Translation:Awrād (litanies) for Laylat-Ul-Barā'ah (Shab-e-Baraat) as instructed by Shaykh-ul-Islam:
1- Sūrah Yasīn (3 times)
2- Sūrah ad-Dukhān (3 times) or first 8 verses (30 times)
3- Supplication of Prophet Yūnus (minimim 100 times):
لا إلهَ إلا أنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِيْنَ
4- Astaghfār (100 times):
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْْقَيُّومُ وَ أَتُوبُ إِلَيْهِ
5- Durood (minimum 100 times)
6- Salāt al-Tasbīh
7- 8 rakā'ah nawāfil Qiyam al-lāyl
8- Gatherings of dhikr and na'at
9- After every 2 rakā'ah nawafil and Salāt al-Tasbīh recite the following supplication and if possible recite one tabīh seperately:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَني


আজকের রাত সম্পর্কে বিভিন্ন তরীকতের ফলোয়াররা ভিন্ন কথা বলে, তাদের বলতে চাচ্ছি শেষ জমানার আগে ৭ দল হবে, আর মাত্র একটা দল ঠিক রাস্তায় সামনে আগাব্‌ [রেফারেন্সঃ http://goo.gl/izleSA]। ভিন্ন মতের ভাইয়েরা আপনারা আপনাদের আকীদায় ও ত্বরীকায় আমল করুন, আমাদেরকে আমাদের আকীদা ও ত্বরীকায় ফলো করতে দিন। দিন শেষে আমরা সবাই নবীজির  ﺻﻠﯽ الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺍٓﻟﮧ ﻭﺳﻠﻢ -এর সৌভাগ্যবান উম্মত, আল্লাহর ইবাদতই তো করছি সবাই, মেহেদী عليه السلام -এর জন্য অপেক্ষায় থাকুক দুধ আর পানির বিচারটা।

এই আর্টিকেলটাতে আমার কোনো ক্রেডিট নাই, ক্রেডিট রাব্বে জুল জালাল আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার, আকায় দো'জাহাকে নাল্যাএনে পাক হায়াতুন নবী হাজের ও নাজের নবী মিজানের একমাত্র শাফা'য়াত করনেওয়ালা হাউজে কাওসারের পানি পিলানেওয়ালা হজরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা صلى الله عليه وسلم, আহলে ব্যাত, তাবেইন, তাবে-তাবেইন, গাউস-কুতুব, আইম্মা, ওলামা, ফোওকাহা, মোহাদ্দেসিন, মোতাফান্নেনিন, মোতামাসসেকিন, মোতামাক্কেনিন, শায়েক, মাশায়েক, অলী, আইলিয়ায় কেরাম, বিশেষ করে খাজা এ খাজেগান সারকারে গউসে পাক সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীব-এ-নেওয়াজ হজরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী رحمة الله عليه, তাঁর স্ত্রী হজরত বিবি ইসমত رحمة الله عليه, তাঁর বড় সাহেবজাদা হজরত বাবা ফখরুদ্দিন رحمة الله عليه, হজরত শামস আদ-দীন মুহাম্মাদ শামস-ই-তাবরিজ رحمة الله عليهআ'লা হজরত শাহ ইমাম আহমাদ রেজা খাঁন رحمة الله عليه, হজরত দাতা গাঞ্জবাক্স رحمة الله عليه, হজরত শায়েক খাজা স্যায়েদ মুহাম্মাদ নিজাম উদ্দিন আউলিয়া رحمة الله عليه, হজরত আব্দুল হাসান ইয়ামিন উদ-দীন খুসরু দেহলভি رحمة الله عليهহজরত মাওলানা জালাল আদ-দীন মুহাম্মাদ রুমী (বাল্খি) رحمة الله عليه, শাহেন শাহে সুলতান বাংলাদেশের আওলিয়াগণের বাদশা হজরত শাহ জালাল  رحمة الله عليه, হজরত হাজী খাজা শাহবাজ رحمتہ اللہ علیہ, বিশেষ করে ওলী-এ-বাংলা বাবা হজরত শাহ খাজা শরফুদ্দিন চিশতী বেহেস্তী  رحمة الله عليه  এর জন্যই সম্ভব হয়েছে এটা, সম্ভব হয়েছি আমি। আর যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার ব্যক্তিগত বোঝার ভুলের ফল, যারা পড়ছেন বা পড়বেন ক্ষমা করবেন আশা করবো আমার ভুলকে শুধরে বা নির্দেশনা দিয়ে যাবেন।


الحمد لله رب العالمين

Tuesday, 3 May 2016

নকল ইলিশ কিনছেন যারা, জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন কোনটা আসল ইলিশঃ

আপনি বাজার থেকে যে ইলিশ কিনেন, তার একটা বড় অংশই আসলে ইলিশই না। সাধারণত সার্ডিন বা চৌক্কা কিনছেন কয়েকগুন বেশি দাম দিয়ে, ছবি দেখে চিনে নিনঃ



দেখে একই লাগছে তো? বাজারে বরফ পানির মধ্যে থেকে আলাদা করা আরো কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু 
- ইলিশ নিজের জাতের পরিচয় লেজ আর পিঠের পাখনায় দিবে। 
- পাখনা সুঠাম হবে, সেটা যতই বরফে থাকুক না কেন, 
- আর ইলিশের লেজ কখনোই খুব বড় বা তীক্ষ্ণ হয় না। ছবির মত ভঙ্গুর হবে যে সেটাকে দৈববানী ভাবার দরকার নাই। দুই পানির মাছের লেজ যেমন মাঝারি আকারের হয় তেমনই হয় ইলিশের।

মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার ঘরে রাখা বোমা রাখা সমান: জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন মেয়াদ আছে কিনা:

আমরা প্রায় সবাই বাড়িতে গ্যাস-সিলিন্ডার ব্যাবহার করি, অনেক সময় শুনা যায় যে সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে মানুষ মারা গেছন, কিন্তু এটা ব্লাস্ট কেন হয় তা অনেকে জানি না। সব জিনিসের মত সিলিন্ডারেরও মেয়াদ শেষ বা expire date থাকে যা আমরা অনেকে জানি না। মেয়াদ শেষ হওয়া কোন সিলিন্ডারকে ঘরে রাখা মানে টাইম বোমা রাখার সমান।ব্যাপার হল আমরা চিনব কিভাবে যে সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ।


ফটোতে মার্ক করা কালো রংগের লেখা টাই হল এক্সপায়ারি ডেট। এখানে A,B,C,D সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়েছে, যেমনঃ
A= বছরের প্রথম তিন মাস যেমন জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ।
B= তার পরের তিন মাস যেমন, এপ্রিল, মে, জুন। একইভাবে C,D দ্বারা ক্রমানুসারে বাকি ছয় মাসকেই বোঝানো হয়। 

আর সবার শেষে বছরের শেষ দুই ডিজিট থাকে। অর্থাৎ C13 (2013 ইং) যদি C18 থাকে তারমানে হল 2018 সালের জুলাই, আগস্ট, অথবা সেপ্টেম্বর মাসেই আপনার সিলিন্ডারের মেয়াদ বা (expire date) হবে।

Sunday, 1 May 2016

What's the difference between ''Specially'' and ''Especially''?

Notice that, they both are adverbs, and
Special    = Particularly purposed, in a distinguishing manner.
Especial  = Exception, in a noteworthy manner to a great extent.

in easier words
Special    = For special purpose [ just one thing is special for its own reason]
Especial  = To single out one thing [ comparison tend to involve here]

Check these examples for further help:

Incorrect:

Especially trained dogs were brought to the crime scene.

Correct:

Specially trained dogs were brought to the crime scene.

Incorrect:

Harry likes to watch sports, specially football.

Correct:

Harry likes to watch sports, especially football.



*Remember: in the sense of ''Particular'' both words would treat as the same.