Thursday, 9 June 2016

আজকে জান্নাতী নারীদের সর্দারনী, আমার রাসূল صلى الله عليه و سلم প্রাণপ্রিয় কন্যা মা ফাতিমাতুয যাহরা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها এর ওয়াফাত দিবস:


সালাম। আজকে জান্নাতী নারীদের সর্দারনী, আমার রাসূল صلى الله عليه و سلم প্রাণপ্রিয় কন্যা মা ফাতিমাতুয যাহরা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها এর ওয়াফাত দিবস।
বেশীরভাগ মুসলমান ভাই-বোনরা জানেননা এই দিনের কথা! আল্লাহ আমাদের এই অবস্থার উন্নতি দান করুন, আমিন।
রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه و سلم এর ঔরসে বিবি খাদিজা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها গর্ভে সর্ব কনিষ্ঠা সন্তান হযরত ফাতেমা জোহরা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها। রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه و سلم এর যাহেরী ৩৫ বছর বয়সে তিঁনি জন্মগ্রহণ করেন। মা ফাতেমা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها হযরত আলী رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنه 'র সাথে বিয়ে হয়। হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী সূরা আলে ইমরানের ৪২ নং আয়াতের তাফসীরে রাসূলুল্লাহ্ صلى الله عليه و سلم মা ফাতেমা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها কে হজরত ঈসা عليه سلم'এর মাতা মারইয়ামের رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها প্রশংসার সাথে সম্পর্কযুক্ত করেছেন।
ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে যেসমস্ত দুঃখ-কষ্ট নবীজী صلى الله عليه و سلم ভোগ করেছেন সে সময়ে তাঁর সাথী ছিলেন ফাতেমা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها। ইন্তেকালের সময় আম্মা খাদিজা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها প্রচুর ধন সম্পদ রেখে যান। সে সম্পদের কোন প্রভাব বালিকা বয়সের মা ফাতেমার رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها উপর প্রাধান্য ফেলতে করতে পারেনি। বরং মহীয়সী মায়েরই মতো তিঁনিও সকল ধন সম্পদ ইসলাম প্রচারের জন্যে শ্রেষ্ঠ পিতার হাতে তুলে দেন। মা ফাতেমা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها মহানবী صلى الله عليه و سلم কে অনেক বেশি ভালোবাসতেন বলেই তাঁর উপাধি হয়েছিল ''উম্মে আবিহা''।
ক্বিয়ামত পর্যন্ত নারীজাতির জন্য চরিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরন স্থাপন করে গিয়েছেন মা ফাতিমাতুয যাহরা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها। তাঁর অসংখ্য ঈমান দীপ্ত ঘটনা রয়েছে, যেগুলা পড়লে এবং শুনলে আহলে ঈমান, ঈমানী জাযবা পায়।

শেষ কথা, صلى الله عليه و سلم প্রাণপ্রিয় কন্যা মা ফাতিমাতুয যাহরা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها এর জীবনী সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের বোনদের মা ফাতিমা رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰعنها এর মত উত্তম চরিত্রের অধিকারী করুন, আমিন।
যেতে যেতে দুইটা হাদীস মনে করে নেয়া যাক,
নবীজি صلى الله عليه و سلم এরশাদ করেছেনঃ
"তাদের জন্য বেহেস্ত হারাম করা হয়েছে যারা আহলে বাইতের উপর অত্যাচার, অবিচার করবে।"
[সাওয়ায়েকে মুহরেকা ৭৯৫ পৃষ্ঠা, হাকে কারবালা ৭ পৃষ্ঠা।]
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল رحمة الله عليه এরশাদ করেছেনঃ"আহলে বাইত রাসূল صلى الله عليه و سلم এর প্রতি যে বিদ্বেষভাব রাখবে সেই মুনাফিক ।"
[সাওয়ায়েকে মুহরেকা ১৭৪ পৃষ্ঠা, আহলে রাসূল ১০৬ পৃষ্ঠা।]




الحمد لله رب العالمين

Tuesday, 7 June 2016

মুত্তাকীগণের ঈমানঃ রমজানুল মুবারাক সবাইকে

প্রত্যেক মুত্তাকী তাঁর জীবনের প্রত্যেকটাদিন পার করে-
- হয় গত রমজানের দিনগুলাকে ইমিটেট করে,
- না হয় আসছে রমজানে তাকওয়া পাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিতে নিতে।
আর সেই বরকতের রমজান মাস এখন। এই মাসে দিয়ে তাকওয়া চর্চা শুরু করার জন্য মনে রাখা দরকার, তাকওয়া'র শুরু হয় সেখানেই যেখানে ঈমান মজবুত হয়েছে, আর এই ঈমান হচ্ছে ''হুব্বে রাসূল صلى الله عليه وسلم''। মানে দুনিয়ার সবার থেকে বেশি, রাসূল صلى الله عليه وسلم এর প্রতি মুহাব্বাত, 'আহলে বাইত' নবী-পরিবার'এর প্রতি মুহাব্বাত, নবী বংশের রক্ত'এর প্রতি মুহাব্বাত, 'সাইয়েদ' 'সিদ্দীক' নামের প্রতি মুহাব্বাত।

এই মুহাব্বাত কে ঘরে বসে চুপচাপ করা যায়না, এটা আমার কথা না। হাদীস-এ কুদসিতে নবীজি صلى الله عليه وسلم প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেছেন, ''জুকিরতু জুকিরতা মায়ই''। সহজ বাংলায় যার মানে, ''মাহবুব, যেখানে আমার জিকির হবে সেখানে আঁপনার নামের জিকির লাজমি হয়ে যাবে।'' কোর'আন শরীফে সূরা আল ইমরান'এর আয়াত ১৮৭ এ আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করে বলেদিয়েছেন এই ইসলামের মূল, ঈমানকে কি করে চর্চা করতে হয়।

জানের চেয়ে প্রিয় রাহমাত-এ নূরে মুজাসসাম, আকায় দো'জাহা, হায়াতুন নবী, হাজের ও নাজের নবী, মিজানের একমাত্র শাফা'য়াত করনেওয়ালা, হাউজে কাওসারের পানি পিলানেওয়ালা এই দোজাহান আল্লাহ করেছেন যাঁর জন্য, হজরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা صلى الله عليه وسلم 'এর প্রেমে আমাদের ঈমান গড়ে উঠুক। সবাইকে রমাদানুল মুবারাক'এর শুভেচ্ছা।



الحمد لله رب العالمين