Wednesday 6 July 2016

ঈদের নামাযের পদ্ধতি: [সহজে মনে রাখার জন্য]



ঈদের নামাযের কনফিউসনের অংশটা হচ্ছে সাধারন নামাযের থেকে এখানে ৬টা তকবীর বেশি আদায় করতে হয়। তো সবার মনে রাখার সুবিধার জন্য খুব সহজ করে বলি, যারা নামায পড়তে পারেন তাঁদের জন্য প্রথম অংশটা, শেষে পুরা নিয়মটা ভেঙে লিখছি, ইনশা'আল্লাহ একবার পড়লেই মনে থাকবেঃ

৬তকবীরের 
৩তকবীর প্রথম রাকা'আতে বাকি ৩তকবীর দ্বিতীয় রাকা'আতেঃ
  • প্রথম ৩তকবীরঃ নামাযের সানা পরার পর। প্রথম দুইবারে হাত ছেড়ে দিবেন তিন নাম্বারে গিয়ে হাত বাঁধবেন। 
  • দ্বিতীয় ৩তকবীরঃ ঈমাম সাহাবের সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ার পর ৩তকবীর হবে। ৩ বারই হাত ছেড়ে দিবেন, ৪র্থ তাকবীরে রুকুতে চলে যাবেন।



এখন পুরাটা বলিঃ
প্রথম রাকা'আতঃ  প্রথমে এভাবে নিয়্যত করে নিন, ''আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামূখী হয়ে এই ইমামের পিছনে অতিরিক্ত ছয় তকরবীরের সাথে ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দুই রাক'আত নামাযের নিয়্যত করছি।" প্রথমে তকবীর ''আল্লাহু আকবর'' বলে হাত কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে  বলে স্বাভাবিকভাবে নাভীতে হাত বেঁধে নিবেন, তারপর সানা [সুবহানাকা আল্লাহুম্মা...] পড়বে। এরপর ঈমাম সাহাব তিন বার তাকবীর [আল্লাহু আকবর] বলবে, প্রথম দুই তকবীর'এর সময় হাত কানের লতি পর্যন্ত তুরে ছেড়ে দিবে মানে হাত বাঁধা যাবেনা। তৃতীয় তকবীর'এর সময় হাত তুলে বেঁধে ফেলবে [স্বাভাবিক নিয়মে]। তারপর ইমাম সাহেব তা'আউয়ুজ তাসমিয়্যাহ অর্থাৎ আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ নিম্নস্বরে পড়বেন এবং সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরাকে জোরে জোরে আওয়াজ করে পড়বেন, এরপর রুকু করবেন। , রুকু তারপর সিজদা আদায় করবেন। খেয়াল রাখবেন, দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবীরে পর যেখানে কিছু পড়তে হবে সেখানে হাত বাঁধতে হবে আর যেখানে পড়তে হবে না সেখানে হাত ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

দ্বিতীয় রাকা'আতঃ সিজদা থেকে দাঁড়িয়ে, ঈমাম প্রথমে সুরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরাকে তেলায়াত করবেন, তারপর তিন তকবীব ''আল্লাহু আকবর'' বলবে। এই তিন তকবীর'এর সময় হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে, মানে হাত বাঁধা যাবে না। তারপর  ৪র্থ তাকবীরে হাত উঠানো ছাড়াই আল্লাহু আকবর বলে রুকুতে চলে যাবেন এবং নিয়মানুযায়ী নামাযের বাকি অংশটুকু সম্পন্ন করবেন। প্রত্যেক দুই তাকবীরের মাযখানে তিনবার "সুবাহানআল্লাহ" বলার পরিমাণ সময় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এরপর বাকি নামায স্বাভাবিক নিয়মে শেষ করবেন।

নামাযের পর ঈমাম সাহাবের খুত্ববা আদায় করবেন। এই সময় কোনো ওজরেই কথা বলবেন না। 
আল্লাহ আমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে, রোজাকে কবুল করুন, আমিন।

রেফঃ
দুররে মুখতার, রদ্দে মুহতার, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৬৬
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ১৫০


الحمد لله رب العالمين

No comments:

Post a Comment