ম্যাটাডোরদের "টোরো দে লা ভেগা" ইভেন্টটা হচ্ছে সেই ইভেন্ট যেখানে গরু/মহিষের দলকে বিনোদনের নামে খেপিয়ে দিয়ে শহরের মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়, আর পিছনে একজন জকি ঘোড়ায় চড়ে গরুগুলাকে ছোঁড়া দিয়ে খোঁচাতে থাকে যেন গরুগুলা দৌড়ানো বন্ধ না করে। শেষ পর্যন্ত গরুগুলা যখন শহরের শেষ বা নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্টে আসে তখন আহত বোবা জানটাকে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বড়-বড় পোঁচ দেওয়া হতে থাকে। অ্যামেরিকান-ইউরোপিয়ান-ইন্ডিয়ান মুভির মাধ্যমে আশা করি সবাই এই ভয়ংকর ইভেন্টের সাথে পরিচিত।
খুশির খবর হচ্ছে, স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট গত ২১মার্চ এই "খেলা"-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অনেক অনেক দিন ধরে অনেক অনেকগুলা পিটিশনের পর এই সাফল্য এসছে।
এই তো গেল গুড নিউজ, এখন বলি কেন এই পোস্টটা লিখছি।
অনেকটা একই রকম ইভেন্ট ম্যাক্সিকোতে হয়ে আসছে, "টোরনেও দে লাজো" নামে।
এই ইভেন্টে স্প্যানিশ ইভেন্টার উল্টাটা হয়। কিন্তু আরো ভয়াবহভাবে। খেপে যাওয়া ষাঁড়কে লেলিয়ে দেওয়া হয় ঘোড়ার পিছে, দুর্বল ঘোড়াগুলা যখন ক্যামিকালি এনারজাইজড ষাঁড়ের সাথে দৌড়ে পেরে উঠে না, তখন ষাঁড়গুলাকে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে বা চাবুক মেড়ে বাধ্য করা হয় শিং দিয়ে ঘোড়াদের পিছন থেকে আক্রমণ করার জন্য। চারদিকে সবাই কেন চেঁচাচ্ছে, কেন ষাঁড় তাদের তাড়া করছে কোনো বুঝতে পারার আগেই ঘোড়াগুলার পেট চিড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ষাঁড়গুলার জকিরা। জান বের হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘোড়া গুলার চিড়ে দেওয়া পেট থেকে বের হওয়া নাড়িভূরি মাটিয়ে ছেসরাতে ছেসরাতে দৌড়াতে বাধ্য করা হয়।
আগের ইভেন্টাকে যেমন করে বন্ধ করা গেছে, সেভাবে আমরা চাইলেই এবার এই ইভেন্ট বন্ধের জন্য পিটিশনে সাইন করতে পারি। আশা করি, সোশ্যাল মিডিয়ার সরব মানুষদের পাশাপাশি ম্যাক্সিকান মাঠ পর্যায়ের মানুষগুলা এই পিটিশনে আমাদের সাইনগুলাকে ম্যাক্সিকান গভার্নমেন্টের কাছে পৌঁছানোর কাজটা করবেন।
১টা মিনিট লাগবে, পিটিশনের জন্য সাইন-আপ করতে। প্লিজ সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি পিটিশনের সাইটগুলাতে এক্টিভ হন সবাই। গভার্নমেন্টের কর্মকর্তারা আমাদের ফেসবুকের পোস্ট পড়ার জন্য সময় পাবেন এটা আশা করা বোকামি, বরং ইন্টারন্যাশেনাল এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার কর্মীরা করা রিপোর্টের মাধ্যমে এই পিটিশনগুলার ফলাফল গভার্নমেন্টের কর্মকর্তারা দেখেন। তাই, আবার রিকুয়েস্ট করছি, প্লিজ সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি পিটিশনের সাইটগুলাতে এক্টিভ হন সবাই।
No comments:
Post a Comment